শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা

ভালোবাসা শুধু মানুষের জন্য নয়!

আলোর মনি রিপোর্ট: ভালোবাসা শব্দটি শুনলেই যে ছবিগুলো হৃদয়ের আয়নায় ভেসে ওঠে তা যাঁর যাঁর প্রিয় মানুষগুলোর। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটে কিছু প্রাণী প্রেমিকদের বেলায়। তেমনি এক প্রাণী প্রেমিক লালমনিরহাট জেলার রেজাউল করিম রানা (৩৭) ডাকনাম রানা নামেই পরিচিত। কুকুর প্রেমী এই যুবকের দেখা মেলে তাঁর ভালোবাসার কুকুরগুলোর সাথে রোজ রাত ৯টায়। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় এলাকার সোনামণি ভিলার গেটের সামনে, রাত ৯টা বাজলেই কুকুরের সাথে নিখাদ ভালোবাসা বিনিময়ের দৃশ্য দেখে অনেক পথিক হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়।

 

গত বছর মার্চের ২৬ তারিখ, করোনা ভাইরাসের প্রকপে করা লকডাউনে গোটাদেশ। সরকার ও বৃত্তবানদের দেওয়া ত্রাণ তখন নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা। অভাবে কাছের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো অনেকের, এমনটা বলছিলেন ঐ সময় ৬টি ক্ষুধার্ত কুকুরের আশ্রয়দাতা রানা। বর্তমানে কুকুরগুলোর প্রজনন হওয়ার পরেও সংখ্যায় কমেছে।

 

দীর্ঘ দিন কুকুরগুলোকে রাতে খাবার দিতে দেখে রেজাউল করিম রানার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওদের গত বছর ২৬ মার্চ প্রথম যখন ক্ষুধার্ত অবস্থায় দুপুরে দেখি তখন কেমন যেনো একটা মায়া লাগলো আর সেই মায়া থেকে এই ভালোবাসা। বাড়ির ভেতর থেকে প্রথমে খাবার এনে দেওয়ার পর খাওয়া শেষে ওরা বসে থাকলো। রাতে বাসায় ঢুকতেই দেখি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আবার খাবার দিলাম, ওরা খাওয়া শেষে আর কোথাও গেলোনা, তখনি সিদ্ধান্ত নেই ওরা আমার কাছেই থাকবে। রিজিক দাতা তো সকলের সৃষ্টিকর্তা। আমি না হয় ওদের একটু দেখাশোনা করবো। আর ভালোবাসা তো শুধু মানুষের জন্য নয়। সেই থেকে এক সাথেই আছি। সম্প্রতি সময় ১টি মা কুকুর বাচ্চা দিয়েছে ২টি। কুকুর ছানা ২টি সখ করে ২জন নিয়ে গেছে। আরেকটি কুকুর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বাকিরা সকালে বাসায় যা থাকে সেটা খেয়েই বের হয়। দুপুরে এদিক-ওদিক ঘুরাঘুরি করলেও খেতে আসেনা, একেবারে রাত ৯টা বাজলেই বাড়ির গেটের সামনে কখনো ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করে, কখনো আমি। রাতে ওদের খাবারটি নিজ হাতে ভাগ করে দেই ওরা সুশৃংখল ভাবে খেয়ে আমার বাড়ীসহ আশপাশ পাহারায় দেয়।

 

মোঃ রেজাউল করিম রানা ডাঃ মোঃ জমশেদ আলী রাজু-এঁর বড় ছেলে। সপরিবারে মিশন মোড়ের সোনামণি ভিলায় বসবাস করেন। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক বিষয়ে বি,এস,সি শেষ করে বাড়ির সাথে নিজেদের মার্কেটেই কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা করেন।

 

স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম বাদশা বলেন, মিশন মোড়ে বেশ কয়টি খাবার হোটেল রয়েছে যেগুলো করোনা ভাইরাসের কারনে প্রথম লকডাউনে পুরোপুরি বন্ধ ছিলো। ঠিক সেই সময় দেখেছি হোটেলগুলোর উপর নির্ভর করা অনেক কুকুরকে খেতে দিতো রানা। রাতে এখনো দেখি কুকুরদের অনেক আদর করে নিজ হাতে খাওয়ায়। এটি ভালো কাজ, অবশ্যই প্রশংসনীয়।

 

ফল ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন স্থানীয় ভাষায় বলেন, এলা মাইনষে মাইনষোক না খাওয়ায়। মেলা দিন থাকি দেখং ছোয়াটা কুত্যাগুল্যাক খিল্যায় আল্লাহ ওমার ভাল কইরবে।

 

তিনি বলছিলেন, এখনতো মানুষ মানুষকে খেতে দেয় না, রানা কুকুরগুলোকে খাবার দেয় আল্লাহ তার ভালো করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone